রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পুলিশের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পুলিশের বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যার অভিযোগে নিহতের মায়ের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আট পুলিশ সদস্য, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তার পিএসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী অভিযোগ করেন। আদালত ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে আমিন জুট মিল এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে জয়নাল আবেদীন মারা গিয়েছিল বলে তখন পুলিশ জানিয়েছিল। জয়নালের সহযোগীদের গ্রেপ্তারে অভিযানে গেলে তারা গুলি চালায় এবং জবাবে পুলিশও ‘আত্মরক্ষায়’ গুলি করেছিল বলে দাবি করেছিল পুলিশ। জয়নালের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল বলেও সে সময় দাবি করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি মারধরের মামলায় অন্য এক আসামি মো. জয়নালকে ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত’ দেখিয়ে অব্যাহতির সুপারিশ করে বায়েজিদ থানার পুলিশ। তখনই জয়নাল আবেদীনের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার বিষয়টি আবার গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে। এর পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনার নিহত জয়নাল আবেদীনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত ঘটনা তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারকে (উত্তর) ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন। যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন- এসআই গোলাম মোহাম্মদ নাছিম হোসেন, কনস্টেবল ফোরকান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী, তার সহকারী শামসু, স্থানীয় ইলিয়াস ও মিঠু কুমার দে। মামলায় অপর অভিযুক্তরা হলেন- বায়েজিদ থানার সে সময়ের ওসি আতাউর রহমান খন্দকার, এসআই নোমান, এসআই দীপঙ্কর, পুলিশ সদস্য আলাউদ্দিন, কনস্টেবল মাসুদ রানা, স্থানীয় বাসিন্দা হারুন ও লাল সুমন।

মামলার বাদী নিহত জয়নাল আবেদীনের মা জোহরা বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন, ৩১ আগস্ট রাতে কাউন্সিলরের পিএস শমসু বাসায় আসে। সে জয়নালের সঙ্গে কথা বলে চলে যাওয়ার পর গভীর রাতে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও জিপ নিয়ে ২০-৩০ জন পুলিশের লোক এসে আমার ছেলেকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে থানায় গেলেও ছেলেকে খুঁজে পাইনি। পরে রাতে থানায় গিয়ে ছেলেকে দেখি। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে ছেলেকে কথা বলতে দেয়নি। ১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তিনজন লোক এসে বলে ছেলের জন্য রক্ত লাগবে।

জোহরা বেগম বলেন, এতদিন ভয়ে মামলা করতে পারিনি। আমার তিনটা মেয়ে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহযোগিতায় আজ মামলা করেছি।

আইনজীবী অরবিন্দু দাশ চৌধুরী জানান, ৩০২ ও ৩০৭ ধারায় হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।

আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, আদালত ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com